Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st জানুয়ারি ২০১৮

রাজশাহীতে গমের ব্লাস্ট রোগ ব্যবস্থাপনা এবং ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2017-12-24

২১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে গম গবেষণা কেন্দ্র দিনাজপুরের আয়োজনে গম গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহীতে এই অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দিন ব্যাপী কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ জনাব মন্জুরুল হুদা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গম গবেষণা কেন্দ্র দিনাজপুরের সম্মানিত পরিচালক ড. নরেশ দেব বর্মন।

 

প্রধান অতিথি বলেন, এই অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষ করতে হবে। তিনি গম আবাদের জন্য স্বল্প জীবন এবং খরা সহনশীল জাত আবিস্কারের প্রতি গুরত্ব প্রদান করেন। তিনি সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের আন্তঃসম্পর্ক আরোও বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে গুরত্ব প্রদান করেন। তিনি ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি এই অঞ্চলের সার্বিক কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা মাঠ পর্যায়ে করার জন্য আয়োজকদের আহ্বান জানান।

 

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন গমের ব্লাস্ট একটি ক্ষতিকর ছত্রাকজনিত রোগ। গমের শীষ বের হওয়া থেকে শুরু করে ফুল ফোটার সময়ে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে এ রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে। রোগটি ১৯৮৫ সালে সর্বপ্রথম ব্রাজিলে দেখা যায় এবং পরবর্তী সময়ে ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশে এর বিস্তার হয়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যশোর. কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলায় প্রায় ১৫,০০০ হেক্টর জমিতে এ রোগের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। গত ২০১৬-১৭ মৌসুমেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে এ রোগের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। তিনি আরোও বলেন, যথাযথ রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উপর সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করার হলে ব্লাস্ট রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তাঁর উপস্থাপনায় তিনি বীজ শোধন এবং নিয়মিত স্প্রে করার ওপর বিশেষ গুরত্ব প্রদান করেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, বিএডিসি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএমডিএ, হর্টিকালচার সেন্টার, ধান গবেষণা, গম গবেষণা, ফল গবেষণা, এসআরডিআই সাংবাদিক সহ প্রায় ৮০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।